সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে নিখোঁজের ৩ দিন পর এসিআই ফুড মিলের বাউন্ডারি এলাকার ডোবার পাড় থেকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শামিম হোসেনের (৩০) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই মিলে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শামিম এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতো। সবার কাছে শামিম ভাই হিসেবে পরিচিত ছিল এবং গত বুধবার সকাল থেকে সে নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যান পায়নি।
শুক্রবার দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের ওই মিলের ডোবার পাড়ে তার লাশ দেখে স্থানীয়রা। এ সংবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা ওই মিলে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে সেনাবাহিনী, র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং যৌথবাহিনী নিহত শামিমের লাশ উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত ও পোড়ানোর কিছু চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর উল্লেখিত মিল এলাকার ডোবাতে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য এখন ওই মিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি। ###